সন্তোষ ট্রফি
সন্তোষ ট্রফি বা সিনিয়র পুরুষ জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ[১] হল ভারতের ফুটবল প্রতিযোগিতা যা রাজ্য ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনগুলোর মধ্যে খেলা হয়ে থাকে। এটির আয়োজক ও পরিচালক সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। ১৯৯৬ পর্যন্ত এটি ছিল ভারতের সর্বোচ্চ ফুটবল লিগ। প্রাথমিক পর্ব থেকে বাছাইয়ের পর অন্তিম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়, যার মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারিত হয়।
চিত্র:সন্তোষ ট্রফির লোগো.png | |
প্রতিষ্ঠিত | ১৯৪১ |
---|---|
অঞ্চল | ভারত |
দলের সংখ্যা | ৩১ |
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন | কেরালা (৭ম শিরোপা) |
সবচেয়ে সফল ক্লাব | পশ্চিমবঙ্গ (৩২টি শিরোপা) |
টেলিভিশন সম্প্রচারক | স্পোর্টসকাস্ট ইন্ডিয়া সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (ফেসবুক সম্প্রচার) |
ওয়েবসাইট | Hero Senior NFC |
২০২১–২২ সন্তোষ ট্রফি |
সন্তোষের মন্মথনাথ রায়চৌধুরী, ভারতীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন-এর (আইএফএ) প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের নামাঙ্কিত এই প্রতিযোগিতাটি। ট্রফিটির নাম কমলা গুপ্ত ট্রফি। প্রথম ও দ্বিতীয় পুরস্কার আইএফএ কর্তৃক দান করা হয়েছিল আর তৃতীয় পুরস্কার দান করেছিল কর্ণাটক রাজ্য ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (মহীশূর)।
বর্তমান দল
দলগুলি অন্তত একবার অংশ নিয়েছে।
- আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ
- অন্ধ্রপ্রদেশ
- অরুণাচল প্রদেশ
- আসাম
- বিহার
- চন্ডীগড়
- ছত্তিশগড়
- দমন ও দিউ
- দাদরা ও নগর হাভেলি
- দিল্লি
- গোয়া
- গুজরাট
- হরিয়ানা
- হিমাচল প্রদেশ
- জম্মু ও কাশ্মীর
- ঝাড়খন্ড
- কর্ণাটক
- কেরালা
- লাক্ষাদ্বীপ
- মধ্যপ্রদেশ
- মহারাষ্ট্র
- মণিপুর
- মেঘালয়
- মিজোরাম
- পুদুচেরি
- ওড়িশা
- পশ্চিমবঙ্গ
- রাজস্থান
- পাঞ্জাব
- সিকিম
- ত্রিপুরা
- তামিলনাড়ু
- উত্তরপ্রদেশ
- উত্তরাখন্ড
- তেলেঙ্গানা
- ভারতীয় রেলওয়ে
- সার্ভিসেস
ফলাফল
ফাইনাল[২]
মরসুম | আয়োজক | চ্যাম্পিয়ন | ফলাফল | রানার্স-আপ |
---|---|---|---|---|
১৯৪১–৪২ | কলকাতা | বাংলা | ৫–১ | দিল্লি |
১৯৪৪–৪৫ | দিল্লি | দিল্লি | ২–০ | বাংলা |
১৯৪৫–৪৬ | বম্বে | বাংলা | ২–০ | বম্বে |
১৯৪৬–৪৭ | ব্যাঙ্গালোর | মহীশূর | ০–০, ২–১ | বাংলা |
১৯৪৭–৪৮ | কলকাতা | বাংলা | ০–০, ১–০ | বম্বে |
১৯৪৯–৫০ | কলকাতা | বাংলা | ৫–০ | হায়দ্রাবাদ |
১৯৫০–৫১ | কলকাতা | বাংলা | ১–০ | হায়দ্রাবাদ |
১৯৫১–৫২ | বম্বে | বাংলা | ১–০ | বম্বে |
১৯৫২–৫৩ | ব্যাঙ্গালোর | মহীশূর | ১–০ | বাংলা |
১৯৫৩–৫৪ | কলকাতা | বাংলা | ০–০, ৩–১ | মহীশূর |
১৯৫৪–৫৫ | মাদ্রাজ | বম্বে | ২–১ | সার্ভিসেস |
১৯৫৫–৫৬ | এর্নাকুলম | বাংলা | ১–০ | মহীশূর |
১৯৫৬–৫৭ | ত্রিবান্দ্রম | হায়দ্রাবাদ | ১–১, ৪–১ | বম্বে |
১৯৫৭–৫৮ | হায়দ্রাবাদ | হায়দ্রাবাদ | ৩–১ | বম্বে |
১৯৫৮–৫৯ | মাদ্রাজ | বাংলা | ১–০ | সার্ভিসেস |
১৯৫৯–৬০ | নগাঁও | বাংলা | ৩–১ | বম্বে |
১৯৬০–৬১ | কোঝিকোড় | সার্ভিসেস | ০–০, ১–০ | বাংলা |
১৯৬১–৬২ | বম্বে | রেলওয়ে | ৩–০ | বম্বে |
১৯৬২–৬৩ | ব্যাঙ্গালোর | বাংলা | ২–০ | মহীশূর |
১৯৬৩–৬৪ | মাদ্রাজ | মহারাষ্ট্র | ১–০ | অন্ধ্রপ্রদেশ |
১৯৬৪–৬৫ | গুয়াহাটি | রেলওয়ে | ২–১ | বাংলা |
১৯৬৫–৬৬ | কোল্লাম | অন্ধ্রপ্রদেশ | ১–১, ১–০ | বাংলা |
১৯৬৬–৬৭ | হায়দ্রাবাদ | রেলওয়ে | ০–০, ২–০ | সার্ভিসেস |
১৯৬৭–৬৮ | কটক | মহীশূর | ১–০ | বাংলা |
১৯৬৮–৬৯ | ব্যাঙ্গালোর | মহীশূর | ০–০, ১–০ | বাংলা |
১৯৬৯–৭০ | নগাঁও | বাংলা | ৬–১ | সার্ভিসেস |
১৯৭০–৭১ | জলন্ধর | পাঞ্জাব | ১–১, ৩–১ | মহীশূর |
১৯৭১–৭২ | মাদ্রাজ | বাংলা | ৪–১ | রেলওয়ে |
১৯৭২–৭৩ | গোয়া | বাংলা | ৪–১ | তামিলনাড়ু |
১৯৭৩–৭৪ | এর্নাকুলম | কেরালা | ৩–২ | রেলওয়ে |
১৯৭৪–৭৫ | জলন্ধর | পাঞ্জাব | ৬–০ | বাংলা |
১৯৭৫–৭৬ | কোঝিকোড় | বাংলা | ০–০, ৩–১ | কর্ণাটক |
১৯৭৬–৭৭ | পাটনা | বাংলা | ১–০ | মহারাষ্ট্র |
১৯৭৭–৭৮ | কলকাতা | বাংলা | ১–১, ৩–১ | পাঞ্জাব |
১৯৭৮–৭৯ | শ্রীনগর | বাংলা | ১–০ | গোয়া |
১৯৭৯–৮০ | কোয়েম্বাটুর | বাংলা | ১–০ | পাঞ্জাব |
১৯৮০–৮১ | কটক | পাঞ্জাব | ০–০, ২–০ | রেলওয়ে |
১৯৮১–৮২ | ত্রিশূর | বাংলা | ২–০ | রেলওয়ে |
১৯৮২–৮৩ | কলকাতা | বাংলা ও গোয়া ০–০, ০–০ ড্রয়ের পর শিরোপা ভাগ করে নেয় | ||
১৯৮৩–৮৪ | মাদ্রাজ | গোয়া | ১–০ | পাঞ্জাব |
১৯৮৪–৮৫ | কানপুর | পাঞ্জাব | ৩–০ | মহারাষ্ট্র |
১৯৮৫–৮৬ | জব্বলপুর | পাঞ্জাব | ০–০ (৪–১ পেনাল্টি) | বাংলা |
১৯৮৬–৮৭ | কলকাতা | বাংলা | ২–১ | রেলওয়ে |
১৯৮৭–৮৮ | কোল্লাম | পাঞ্জাব | ০–০ (৫–৪ পেনাল্টি) | কেরালা |
১৯৮৮–৮৯ | গুয়াহাটি | বাংলা | ১–১ (৪–৩ পেনাল্টি) | কেরালা |
১৯৮৯–৯০ | মারগাও | গোয়া | ২–০ | কেরালা |
১৯৯০–৯১ | পালাক্কাড় | মহারাষ্ট্র | ১–০ | কেরালা |
১৯৯১–৯২ | কোয়েম্বাটুর | কেরালা | ৩–০ | গোয়া |
১৯৯২–৯৩ | কোচি | কেরালা | ২–০ | মহারাষ্ট্র |
১৯৯৩–৯৪ | কটক | বাংলা | ২–২ (৫–৩ পেনাল্টি) | কেরালা |
১৯৯৪–৯৫ | চেন্নাই | বাংলা | ২–১ (a.s.d.e.t.) | পাঞ্জাব |
১৯৯৫–৯৬ | মারগাও | বাংলা | ১–০ | গোয়া |
১৯৯৬–৯৭ | জব্বলপুর | বাংলা | ১–০ (a.s.d.e.t.) | গোয়া |
১৯৯৭–৯৮ | গুয়াহাটি | বাংলা | ৫–১ | গোয়া |
১৯৯৮–৯৯ | চেন্নাই | বাংলা | ১–০ | গোয়া |
১৯৯৯–০০ | ত্রিশূর | মহারাষ্ট্র | ৩–২ | কেরালা |
২০০১–০২ | মুম্বই | কেরালা | ৩–২ (a.s.d.e.t.) | গোয়া |
২০০২–০৩ | ইম্ফল | মণিপুর | ২–১ (a.s.d.e.t.) | কেরালা |
২০০৪–০৫ | দিল্লি | কেরালা | ৩–২ | পাঞ্জাব |
২০০৫–০৬ | কোচি | গোয়া | ৩–১ (অ.স.প.) | মহারাষ্ট্র |
২০০৬–০৭ | গুরগাঁও | পাঞ্জাব | ০–০ (অ.স.প.) (৫–৩ পেনাল্টি) | পশ্চিমবঙ্গ |
২০০৭–০৮ | শ্রীনগর | পাঞ্জাব | ১–০ | সার্ভিসেস |
২০০৮–০৯ | চেন্নাই | গোয়া | ০–০ (অ.স.প.) (৪–২ পেনাল্টি) | বাংলা |
২০০৯–১০ | কলকাতা | পশ্চিমবঙ্গ | ২–১ | পাঞ্জাব |
২০১০–১১ | আসাম | পশ্চিমবঙ্গ | ২–১ | মণিপুর |
২০১১–১২ | ওড়িশা | সার্ভিসেস | ৩–২ | তামিলনাড়ু |
২০১২–১৩ | কোচি | সার্ভিসেস | ০–০ (অ.স.প.) (৪–৩ পেনাল্টি) | কেরালা |
২০১৩–১৪ | শিলিগুড়ি | মিজোরাম | ৩–০ | রেলওয়ে |
২০১৪–১৫ | লুধিয়ানা | সার্ভিসেস | ০–০ (৫–৪ পেনাল্টি) | পাঞ্জাব |
২০১৫–১৬ | নাগপুর | সার্ভিসেস | ২–১ | মহারাষ্ট্র |
২০১৬–১৭ | গোয়া | পশ্চিমবঙ্গ | ১–০ | গোয়া |
২০১৭–১৮ | কলকাতা | কেরালা | ২–২ (৪–২ পেনাল্টি) | পশ্চিমবঙ্গ |
২০১৮–১৯ | লুধিয়ানা | সার্ভিসেস | ১–০ | পাঞ্জাব |
২০২১–২২ | মালাপ্পুরম | কেরালা | ১–১ (৫–৪ পেনাল্টি) | পশ্চিমবঙ্গ |
পরিসংখ্যান
দল | বিজয়ী | রানার্স-আপ | সর্বশেষ জয় |
---|---|---|---|
পশ্চিমবঙ্গ/বাংলা | ৩২ | ১৪ | ২০১৬–১৭ |
পাঞ্জাব | ৮ | ৮ | ২০০৭–০৮ |
কেরালা | ৭ | ৮ | ২০২১–২২ |
সার্ভিসেস | ৬ | ৫ | ২০১৮–১৯ |
গোয়া | ৫ | ৮ | ২০০৮–০৯ |
কর্ণাটক/মহীশূর | ৪ | ৫ | ১৯৬৮–৬৯ |
রেলওয়ে | ৩ | ৬ | ১৯৬৬–৬৭ |
মহারাষ্ট্র/বম্বে | ৪ | ১২ | ১৯৯৯–০০ |
অন্ধ্রপ্রদেশ/হায়দ্রাবাদ | ৩ | ৩ | ১৯৬৫–৬৬ |
দিল্লি | ১ | ১ | ১৯৪৪–৪৫ |
মণিপুর | ১ | ১ | ২০০২–০৩ |
মিজোরাম | ১ | ০ | ২০১৩–১৪ |
তামিলনাড়ু | ০ | ২ | - |
রেকর্ড
প্রতিযোগিতার সর্বাধিক গোল | ইন্দের সিং (পাঞ্জাব) (৪৫টি গোল)[৩] |
---|---|
একক প্রতিযোগিতায় সর্বাধিক গোল | ইন্দের সিং (পাঞ্জাব) (২৩ গোল – ১৯৭৪/৭৫)[৩] |
একটি ম্যাচে সর্বাধিক গোল | ফ্রেড পাগস্লে (বাংলা) বনাম রাজপুতানা (৭ গোল) |
ইন্দের সিং (পাঞ্জাব) বনাম গুজরাট (৭ গোল)[৩][৪] |
তথ্যসূত্র
- ↑ "Hero Senior NFC"। www.the-aiff.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-০৫।
- ↑ "Santosh Trophy Winners"। RSSSF।
- ↑ ৩.০ ৩.১ ৩.২ "From the History Book"। The All India Football Federation। ২৭ মে ২০১২। ২১ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Memorable moments in the Santosh Trophy"। Sportskeeda.com। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০২১।