অগ্রপুরী বিহার
চিত্র:অগ্রপুর বিহার দুর থেকে.jpg | |
লুয়া ত্রুটি মডিউল:তথ্যছক_মানচিত্র এর 185 নং লাইনে: attempt to index field 'wikibase' (a nil value)। | |
অবস্থান | আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়ন, ধামইরহাট উপজেলা, নওগাঁ জেলা |
---|---|
অঞ্চল | রাজশাহী |
স্থানাঙ্ক | লুয়া ত্রুটি মডিউল:স্থানাঙ্ক এর 545 নং লাইনে: attempt to index field 'wikibase' (a nil value)। |
ধরন | প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন |
এলাকা | ৪ একর (১৬,০০০ মি২) |
স্থান নোটসমূহ | |
অবস্থা | ধ্বংসের পথে |
মালিকানা | বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর |
ব্যবস্থাপনা | বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর |
স্থাপত্য | |
স্থাপত্য শৈলী | উঁচু ঢিবি |
অগ্রপুরী বিহার বা আগ্রাদ্বিগুন ঢিবি (ইংরেজি: Agrapuri Vihara) বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে অবস্থিত একটি প্রাচীন স্থাপনা। এটি মূলত নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়ন সদর আগ্রাদ্বিগুন বাজারের পাশেই অবস্থিত[১] ও বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর-এর তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা।[১]
অবস্থান
ধামুইরহাট উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পশ্চিম দিকে কাশিপুর নামক মৌজায় স্থানীয় আগ্রাদ্বিগুন বাজারের পশ্চিম পাশে বিহারটি অবস্থিত।[২][৩] পূর্বে এই প্রাচীন স্থান অবিভক্ত দিনাজপুর জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল।[৪]
ইতিহাস
অগ্রপুরী বিহারের বিস্তারিত ইতিহাস জনা যায় নাই। বৌদ্ধধর্মাবলম্বী পাল রাজাদের রাজত্বকালে নির্মিত হয়েছিল।[২] তিব্বতীয় সাহিত্য অনুসারে অগ্রপুরী বিহার বলা যায়। বিহার বলতে মূলত বিদ্যালয় এবং উপাসনালয় দুইটির মিলিত স্থাপনা। একসময় বিহারটি বৌদ্ধ শিক্ষার বৃহৎ প্রতিষ্ঠান ছিল।[৫] তবে বর্তমানে স্থাপনাটি ধ্বংসের পথে।[৩]
বিবরণ
বিহারটি চার বর্গমাইল এলাকাজুড়ে অবস্থিত। বিহার এলাকায় অনেক প্রাচীন জলাশয়ের অস্তিত্ব দেখতে পাওয়া যায়। বিহারটি দেখতে পাহাড়ের মতো উঁচু ঢিবি আকৃতির। ঢিবি আকৃতির উপরের অংশ প্রায় সমতল।[২] আগ্রাদ্বিগুন ঢিবি নামে দুটি প্রাচীন গ্রামের মধ্যে অনেক দিঘি ছিল। প্রত্যেকটি প্রায় ১৫ থেকে ২০ একর আয়তনের। বর্তমানে এর চারপাশে অনেক পুরানো পাথর, শিলা পড়ে রয়েছে।[৪]
আরো পড়ুন
- বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের তালিকা
- ধনভাণ্ডার ঢিবি
- রবীন্দ্র কাচারী বাড়ি
- সীতাকোট বিহার
- নবরত্ন মন্দির
তথ্যসূত্র
- ↑ ১.০ ১.১ "প্রত্নস্হলের তালিকা"। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। www.archaeology.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ ২.০ ২.১ ২.২ আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ (২০১৯-০৬-০৪)। "ঈদের ছুটিতে ঘুরে আসুন প্রাচীন বাংলায়"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-১৪।
- ↑ ৩.০ ৩.১ "প্রাচীন বিহার- হলুদ জগদ্দল অগ্রপুরী, ইতিহাস অনুদ্ঘাটিত"। দৈনিক জনকন্ঠ। ১৮ মে ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-১৪।
- ↑ ৪.০ ৪.১ আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া; প্রশ্নোত্তরে বাঙলাদেশের প্রত্নকীর্তি (প্রথম খন্ড); ঝিনুক প্রকাশনী; তৃতীয় মুদ্রণঃ মার্চ ২০১৩; পৃষ্ঠা- ২২৯-৩০, ISBN 984- 70112-0112-0
- ↑ "আগ্রাদ্বিগুণ ঢিবি/ অগ্রপুরী বিহার"। জাতীয় তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-১৪।