অযোধ্যা বিবাদ

ভারতপিডিয়া থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
অযোধ্যা বিবাদ
অযোধ্যার পুরাতত্ত্ব
(বিষ্ণু হরি শিলালিপি)
বাবরি মসজিদ
বাবরি মসজিদ ধ্বংস
রাম জন্মভূমি
অযোধ্যা গুলি চালানোর ঘটনা
২০০৫ রাম জন্মভূমি জঙ্গি হানা
সংগঠন
অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ
রাম জন্মভূমি ন্যাস
শিবসেনা
ভারতীয় জনতা পার্টি
লিবারহান কমিশন
নির্মোহী আখাড়া
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ
সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড
ব্যক্তিত্ব
বাবর
অশোক সিংঘল
অটলবিহারী বাজপেয়ী
লালকৃষ্ণ আডবাণী
কল্যাণ সিং
মুরলি মনোহর যোশী
উমা ভারতী
অযোধ্যার বিতর্কিত জমির মানচিত্র।

অযোধ্যা বিবাদ ভারতের রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক এবং সামাজিক-ধর্মীয় বিতর্ক, উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা শহরের একটি জমিরকে কেন্দ্র করে। বিবাদটি হিন্দু দেবতা রামের জন্মস্থান হিসাবে হিন্দুদের মধ্যে ঐতিহ্যগতভাবে বিবেচিত স্থানের নিয়ন্ত্রণ,[১] এবং ঘটনাস্থলে অবস্থিত বাবরি মসজিদের ইতিহাস ও অবস্থান এবং পূর্ববর্তী হিন্দু মন্দিরটি ভেঙে ফেলে বা মন্দিরের ভিতের উপর মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল কিনা তা নিয়ে শুরু হয়।

বাবরি মসজিদ একটি রাজনৈতিক সমাবেশ চলাকালীন ধ্বংস হয়ে যায়, যা ১৯৯২ সালের ডিসেম্বর দাঙ্গায় রূপান্তরিত হয়। পরবর্তীতে জমি শিরোনামের মামলাটি এলাহাবাদ হাইকোর্টে দায়ের করা হয়, যার রায় ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১০ সালে দেওয়া হয়। তিন বিচারপতি নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় ছিল যে, অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭ একর (১.১২ হেক্টর) জমিটি তিনটি ভাগে বিভক্ত করা হবে, যেখানে ১/৩ অংশ রাম ললায় বা হিন্দু মহাসভার প্রতিনিধিত্বকারী শিশু রামের হাতে যায়, ১/৩ অংশ যায় সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের হাতে এবং বাকি ১/৩ অংশ যায় নির্মোহী আখড়ার হাতে। রায়টি নিশ্চিত করে যে এই বিতর্কিত স্থানটি হিন্দুদের বিশ্বাস অনুসারে রামের জন্মস্থান ছিল এবং বাবরি মসজিদ একটি হিন্দু মন্দির ভেঙে দেওয়ার পরে নির্মিত হয়। এছাড়া রায়ে উল্লেখ করা হয় যে মসজিদটি ইসলামের তত্ত্ব অনুসারে নির্মিত হয়নি।[২][৩]

পাঁচ বিচারপতি নিয়ে গঠিত ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ের (সুপ্রিম কোর্ট) বেঞ্চে ২০১৯ সালে আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত অযোধ্যা বিবাদের মামলা শুনেছে।[৪][৫] ৯ নভেম্বর ২০১৯ সালে, সুপ্রিম কোর্ট জমিটিকে হিন্দু মন্দির তৈরির জন্য একটি ট্রাস্টের হাতে হস্তান্তর করার আদেশ দেয়। রায়ে মসজিদটি নির্মাণের জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে বিকল্প পাঁচ একর জমি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।[৬]

কালপঞ্জি

বছর তারিখ ঘটনা[৭]
১৫২৮ এর দেয়ালগুলির শিলালিপি অনুসারে, বাবরি মসজিদ সম্রাটের বাবর-এর আদেশে নির্মিত হয়। স্থানীয় ঐতিহ্য বলে এটি রামের জন্মস্থানে একটি মন্দির (ধ্বংসাবশেষ) ভেঙে দেওয়ার পরে তৈরি করা হয়।[৮][৯]
২০১১ ৯ মে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের এই বিতর্কিত স্থানটিকে তিন ভাগে বিভক্ত করার আদেশ স্থগিত করে এবং বলেছে যে সেখানে স্থিতাবস্থা থাকবে।
২০১৯ ৬ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গোগোই এর নেতৃত্বে ৫ জন বিচারকের সংবিধান বেঞ্চ এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি শুরু করেছে।[১০]
২০১৯ ১৬ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টে চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়। বেঞ্চ চূড়ান্ত রায় সংরক্ষণ করে। বেঞ্চ প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলিকে লিখিত নোট দাখিল করার জন্য এবং যে বিষয়গুলিতে আদালত রায় দিতে হবে সেগুলি সঙ্কুচিত করতে তিন দিনের সময় মঞ্জুর করে। [১১]
২০১৯ ৯ নভেম্বর চূড়ান্ত রায় প্রদান।[১২] সুপ্রিম কোর্ট জমিটিকে হিন্দু মন্দির তৈরির জন্য একটি ট্রাস্টের হাতে হস্তান্তর করার আদেশ দিয়েছে। এই রায়ে মসজিদ নির্মাণের উদ্দেশ্যে সুন্নী ওয়াকফ বোর্ডকে বিকল্প পাঁচ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় সরকারকে।[১৩]

তথ্যসূত্র

  1. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Tieffenthaler নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  2. "Ayodhya dispute: The complex legal history of India's holy site"। BBC News। ১৬ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১৯ 
  3. Gist of Judgements by Justices S. U. Khan, Sudhir Agarwal and Dharam Veer Sharma, Allahabad High Court, 6 October 2010
  4. "Ayodhya dispute: The complex legal history of India's holy site"। BBC News। ১৬ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১৯ 
  5. "Supreme Court hearing ends in Ayodhya dispute; orders reserved"The Hindu Business Line। Press Trust of India। ২০১৯-১০-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১৮ 
  6. "Ram Mandir verdict: Supreme Court verdict on Ram Janmabhoomi-Babri Masjid case"The Times of India। ২০১৯-১১-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০৯ 
  7. 'Timeline: Ayodhya crisis', BBC News, 17 October 2003.
  8. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Bakker নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  9. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; BBC Timeline নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  10. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; :0 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  11. "Ayodhya case: SC concludes hearing"The Times of India 
  12. "Ayodhya verdict live updates: Supreme Court delivers judgement on Ram Mandir-Babri Masjid case"The Times of India (English ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০৯ 
  13. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; :1 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি

উৎসগুলি

  • Sharma, Dharam Veer (৩০ আগস্ট ২০১০)। "Judgement in OOS No. 4 of 1989 (Decision of Hon'ble Special Full Bench hearing Ayodhya Matters)"। Allahabad High Court। ২৭ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  • লুয়া ত্রুটি মডিউল:উদ্ধৃতি/শনাক্তক এর 47 নং লাইনে: attempt to index field 'wikibase' (a nil value)।
  • লুয়া ত্রুটি মডিউল:উদ্ধৃতি/শনাক্তক এর 47 নং লাইনে: attempt to index field 'wikibase' (a nil value)।
  • লুয়া ত্রুটি মডিউল:উদ্ধৃতি/শনাক্তক এর 47 নং লাইনে: attempt to index field 'wikibase' (a nil value)।
  • লুয়া ত্রুটি মডিউল:উদ্ধৃতি/শনাক্তক এর 47 নং লাইনে: attempt to index field 'wikibase' (a nil value)।
  • Jain, Meenakshi (২০১৩), Rama and Ayodhya, New Delhi: Aryan Books, আইএসবিএন 978-8173054518 
  • Jha, Krishna; Jha, Dhirendra K. (২০১২)। Ayodhya: The Dark Night। HarperCollins India। আইএসবিএন 978-93-5029-600-4 
  • Kunal, Kishore (২০১৬), Ayodhya Revisited, Prabhat Prakashan, পৃষ্ঠা 335–, আইএসবিএন 978-81-8430-357-5 
  • Lal, B. B. (২০০৮)। Rāma, His Historicity, Mandir, and Setu: Evidence of Literature, Archaeology, and Other Sciences। Aryan Books। আইএসবিএন 978-81-7305-345-0 
  • Layton, R.; Thomas, P. (২০০৩)। "Introduction"। Layton, R.; Stone, P.; Thomas, J.। Destruction and Conservation of Cultural Property। Routledge। পৃষ্ঠা 1–21। আইএসবিএন 978-1134604975 
    • Lal, B. B. (২০০৩)। "A note on the excavations at Ayodhya with reference to the Mandir-Masjid issue"। Layton, R.; Stone, P.; Thomas, J.। Destruction and Conservation of Cultural Property। Routledge। পৃষ্ঠা 117–126। আইএসবিএন 978-1134604975 
    • Sharma, Ram Sharan (২০০৩)। "The Ayodhya issue"। R. Layton; P. Stone; J. Thomas। Destruction and Conservation of Cultural Property। Routledge। পৃষ্ঠা 127–138। আইএসবিএন 978-1134604975 
  • Narain, Harsh (১৯৯৩)। The Ayodhya Temple Mosque Dispute: Focus on Muslim Sources। Delhi: Penman Publishers। 
  • Nath, R. (১৯৯০)। Babari Masjid of Ayodhya। Jaipur: The Historical Research Documentation program। 
  • লুয়া ত্রুটি মডিউল:উদ্ধৃতি/শনাক্তক এর 47 নং লাইনে: attempt to index field 'wikibase' (a nil value)।
  • লুয়া ত্রুটি মডিউল:উদ্ধৃতি/শনাক্তক এর 47 নং লাইনে: attempt to index field 'wikibase' (a nil value)।
  • van der Veer, Peter (১৯৮৯)। Gods on Earth: The Management of Religious Experience and Identity in a North Indian Pilgrimage Centre। Oxford University Press। আইএসবিএন 978-0485195101 
  • লুয়া ত্রুটি মডিউল:উদ্ধৃতি/শনাক্তক এর 47 নং লাইনে: attempt to index field 'wikibase' (a nil value)।
  • van der Veer, Peter (১৯৯৪), Religious Nationalism: Hindus and Muslims in India, University of California Press, আইএসবিএন 978-0-520-08256-4 

আরও পড়ুন

বহিঃসংযোগ