অরুণা রায়
অরুণা রায় | |
---|---|
জন্ম | |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | সমাজকর্মী |
পুরস্কার | রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার, ২০০০; লাল বাহাদুর শাস্ত্রী রাষ্ট্রীয় পুরস্কার, ২০১০ |
অরুণা রায় (জন্মঃ ২৬ মে, ১৯৪৬) একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ ও সমাজকর্মী; তিনি শঙ্কর সিং, নিখিল দে ও অন্যান্য অনেকের সাথে মিলে মজদুর কিষাণ শক্তি সংগঠন (MKSS) প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি সমাজের দুর্বল তথা অনগ্রসর অংশের জন্য করা সেবামূলক কাজের জন্য পরিচিত, এছাড়া তিনি ইউপিএ-১ সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বাধীন 'রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা সমিতি’র সদস্য ছিলেন।
প্রাথমিক জীবন
অরুণা রায় চেন্নাইতে জন্মগ্রহণ করেন।[১][২] তিনি দিল্লীতে বড় হয়েছেন যেখানে তার বাবা একজন সরকারি কর্মচারী ছিলেন। তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্দ্রপ্রস্ত মহাবিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেন।[৩][৪]
তিনি ১৯৬৮ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত ভারতীয় প্রশাসনিক সেবার (আইএএস) সরকারি কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন।
মজদুর কিষাণ শক্তি সংগঠন
রায় রাজনৈতিক চাকরি থেকে পদত্যাগ করেন এবং দরিদ্র ও প্রান্তিকের বিষয় নিয়ে কাজ করা শুরু করেন। তিনি রাজস্থানের তিলোনিয়াতে সামাজিক কর্ম ও গবেষণা কেন্দ্রের (এসডব্লিউসি) সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন।[৫][৬] ১৯৮৭ সালে, নিখিল দে, শঙ্কর সিং ও অন্যান্যদের সাথে তিনি মজদুর কিষাণ শক্তি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।[৭]
প্রথমত মজদুর কিষাণ শক্তি সংগঠন লড়াই শুরু করে শ্রমিকদের ন্যায্য ও সমান মজুরি আদায়ের লক্ষ্যে কিন্তু সেই লড়াই ধীরেধীরে ভারতে তথ্যের অধিকার আইন প্রনয়ণর আন্দোলনের রূপ নেয়। অরুণা রায় এমকেএসএস ও এনসিপিআরআই সংগঠন দুটির নেতৃত্ব প্রদান করেন এবং তাদের আন্দোলন সফল হয়, যার ফলস্বরূপ ২০০৫ সালে ভারতে তথ্য জানার অধিকার আইন প্রণয়ন হয়।[৮]
প্রচারাভিযান
অরুণা রায় দরিদ্র তথা প্রান্তিক মানুষের অধিকারে জন্য বেশ কয়েকটি আন্দোলন করেন এবং সেগুলোর নেতৃত্ব দেন; যেগুলোর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন হলো তথ্য জানার অধিকার আইন, কাজের অধিকার আইন (মনরেগা),[৯] এবং খাদ্যের অধিকার আন্দোলন উল্লেখযোগ্য। সম্প্রতি, she has been involved with the campaign for universal, non-contributory pension for unorganised sector workers as a member of the Pension Parishad[১০][১১] and the NCPRI for the passage and enactment of the Whistleblower Protection Law and Grievance Redress Act.[১২][১৩]
পুরস্কার ও অন্যান্য কাজ
তিনি ২০০৬ সালে পদত্যাগ না করা পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা সমিতির একজন সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন।[১৪][১৫]
মজদুর কিষাণ শক্তি সংগঠনের সাথে যৌথভাবে, অরুণা রায়কে গ্রামীণ কর্মীদের প্রতি সামাজিক ন্যায়বিচার ও সৃজনশীল উন্নয়নে অধিকার সম্পর্কিত কজের জন্য ১৯৯১ সালে টাইমস ফেলোশিপ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছিল। ২০০০ সালে, তিনি সামাজিক নেতৃত্বের জন্য রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার অর্জন করেন।[১৬] ২০১০ সালে, জন প্রশাসন, শিক্ষা ও ব্যাবস্থাপনায় অসাধারণ কাজের জন্য লাল বাহাদুর শাস্ত্রী রাষ্ট্রীয় পুরস্কার প্রদান করা হয়। [১৭] ২০১১ সালে টাইম ম্যাগাজিন তাকে বিশ্বের প্রভাবশালী একশো ব্যাকির তালিকায় উল্লেখ করে।[১৮] In September 2017 India Times listed Roy as one of the 11 Human Rights Activists Whose Life Mission Is To Provide Others With A Dignified Life[১৯]
তথ্যসূত্র
- ↑ "Daughter Of The Dust | Urvashi Butalia | Oct 16,2006"। www.outlookindia.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৯-১৭।
- ↑ "'I would like to know how I am a traitor'"। www.telegraphindia.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৯-১৭।
- ↑ "Aruna Roy (Indian activist) -- Encyclopædia Britannica"। Encyclopædia Britannica। ৩০ জানুয়ারি ২০১৩।
- ↑ "DU has a lot on its ladies special platter"। India Today। ৩ জুন ২০০৯।
- ↑ Women who dared, by Ritu Menon. Published by National Book Trust, India, 2002. আইএসবিএন ৮১-২৩৭-৩৮৫৬-০. Page 169-170.
- ↑ Aruna Roy National Resource Center for Women, Govt. of India.
- ↑ MKSS As a Role Model ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে, Civil Society Online. Jan 2012
- ↑ Blacked out: government secrecy in the information age, by Alasdair Scott Roberts. Cambridge University Press, 2006.
- ↑ "Matersfamilias | Saba Naqvi | Aug 24,2015"। www.outlookindia.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৮-২৭।
- ↑ লুয়া ত্রুটি মডিউল:উদ্ধৃতি/শনাক্তক এর 47 নং লাইনে: attempt to index field 'wikibase' (a nil value)।
- ↑ "Forgotten Brethren | Harsh Mander | Apr 20,2015"। www.outlookindia.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৮-২৭।
- ↑ "Aruna Roy seeks early passage of grievance redress, whistleblower bills"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৮-২৭।
- ↑ Roy, Aruna। "The Fate of RTI After One Year of Modi is a Bad Omen"। The Wire। ২০১৫-১০-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৮-২৭।
- ↑ "NAC reconstituted"। The Hindu। ৪ জুন ২০০৫। ১ মার্চ ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "Daughter Of The Dust | Urvashi Butalia | Oct 16,2006"। www.outlookindia.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৮-২৭।
- ↑ "Ramon Magsaysay Award Citation"। ৭ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- ↑ Thehindu.com
- ↑ লুয়া ত্রুটি মডিউল:উদ্ধৃতি/শনাক্তক এর 47 নং লাইনে: attempt to index field 'wikibase' (a nil value)।
- ↑ Anjali Bisaria। "11 Human Rights Activists Whose Life Mission Is To Provide Others With A Dignified Life/"। Indiatimes.com।
আরও পড়ুন
- Gupta, Indra (২০০৪)। India's 50 Most Illustrious Women (English ভাষায়)। New Delhi: Icon Publications। আইএসবিএন 9788188086030।
- Bail, S; Bansal, S (২০০৪)। Icons of social change (English ভাষায়)। New Delhi: Puffin Books।
বহিঃসংযোগ
উইকিমিডিয়া কমন্সে অরুণা রায় সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।
- স্ক্রিপ্ট ত্রুটিসহ পাতা
- ওয়েব আর্কাইভ টেমপ্লেটে ওয়েব্যাক সংযোগ
- অকার্যকর ফাইল সংযোগসহ পাতাসমূহ
- এইচকার্ডের সাথে নিবন্ধসমূহ
- উদ্ধৃতি শৈলীতে English ভাষার উৎস (en)
- ভারতীয় মহিলা সমাজকর্মী
- তামিলনাড়ুর সমাজকর্মী
- তথ্যের স্বাধীনতা কর্মী
- ইন্দ্রপ্রস্থ মহাবিদ্যালয়ের মহিলা প্রাক্তন ছাত্র
- দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র
- লাল বাহাদুর শাস্ত্রী রাষ্ট্রীয় পুরস্কার প্রাপক
- রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার বিজয়ী
- ১৯৪৬-এ জন্ম
- জীবিত ব্যক্তি
- চেন্নাইয়ের ব্যক্তি
- রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা সমিতির সদস্য, ভারত
- ভারতীয় সরকারী কর্মচারী
- তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে নারী
- বিংশ শতকের ভারতীয় নারী
- বিংশ শতকের ভারতীয় শিক্ষাবিদ
- তামিলনাড়ুর শিক্ষাবিদ
- ভারতীয় প্রশাসনিক সেবা কর্মকর্তা
- তামিলনাড়ুর নারী শিক্ষাবিদ