ইমরান শাহ

ভারতপিডিয়া থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
ইমরান শাহ
Imran Sah.jpg
জন্ম (1933-11-23) ২৩ নভেম্বর ১৯৩৩ (বয়স ৯০)
ধাই আলী, শিবসাগর জেলা, অসম
ছদ্মনামঈশান দত্ত, অনামিকা বড়ুয়া, কুম্ভকর্ণ, অনিমেষ বড়ুয়া
পেশা
ভাষাঅসমীয়া
জাতীয়তাভারতীয়
শিক্ষাএম.এ. (অসমীয়া)
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানশিবসাগর কলেজ, গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়
ধরন
  • ঔপন্যাসিক
  • গল্পকার
  • কবি
দাম্পত্যসঙ্গীশাহিদা শাহ
সন্তান

ইমরান শাহ (জন্ম: ২৩ নভেম্বর ১৯৩৩), যিনি নবাব ইমরান শাহ নামে পরিচিত, একজন ভারতীয় অসমিয়া ভাষার লেখক, কবি, ঔপন্যাসিক এবং পণ্ডিত।  তিনি ঈশান দত্ত, অনামিকা বড়ুয়া, কুম্ভকর্ণ এবং অনিমেষ বড়ুয়া নামেও লিখেছেন।[১]

জীবনের প্রথমার্ধ

ইমরান শাহ ১৯৩৩ সালের ২৩ নভেম্বর অসমের শিবসাগর জেলার ধাই আলীতে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তিনি মুহাম্মদ শাহ এবং মরিয়ম নেসার কনিষ্ঠ সন্তান ছিলেন।

শাহ শিবসাগরের ২নং ধাই আলী প্রাথমিক বিদ্যালয় (দ্বিতীয় ধাই আলী প্রাথমিক বিদ্যালয়) এবং তার পরে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯৫২ সালে তিনি গুয়াহাটির কটন কলেজের আইএসসি কোর্সে ভর্তি হন এবং ১৯৫৮ সালে তিনি শিবসাগর কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়াও শাহ গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অসমিয়া ভাষায় এম.এ. অর্জন করেন।

পেশাদারিত্ব

শিক্ষকতা

ইমরান শাহ শিবসাগরের কনওয়ারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে অস্থায়ী শিক্ষক হিসাবে পেশাগত জীবন শুরু করেছিলেন এবং পরে আইএসসি শেষ করে শিবসাগর উচ্চ মাদ্রাসা বিদ্যালয়ের কর্মীদের সাথে যোগ দেন। গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এস ডিগ্রি. পাওয়ার পরে  তিনি গারগাঁও কলেজে অসমিয়া ভাষার প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন। সেখান থেকে তিনি এক বছর পরে শিবসাগর কলেজের অসমিয়ার প্রভাষক পদে চলে আসেন এবং ১৯৯৩ সালে তিনি বিভাগের প্রধান হিসাবে অবসর গ্রহণ করেন। অবসর গ্রহণের সময়, তিনি নিজের বাড়ির নিকটবর্তী অরুণোদয় কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

লেখালেখি/সম্পাদনা

শাহ স্কুলে পড়ার সময়ই তাঁর লেখালেখির কাজ শুরু করেছিলেন। প্রথম কাব্যগ্রন্থ হিসেবে বানভাসি যখন প্রকাশিত হয়েছিল তিনি তখন নবম শ্রেণিতে পড়তেন। পরের বছর, তিনি যখন দশম শ্রেণিতে পড়েন, তখন তাঁর প্রথম উপন্যাস, সঙ্গীত হিখিপারে প্রকাশিত হয়। তিনি ঈশান দত্ত নাম ধরে রামধেনুতে কবিতা লিখেছিলেন। তাঁর প্রথম ছোট গল্প "অপরিচিতা" ১৯৫৮ সালে নাটু অসমিয়ায় প্রকাশিত হয়েছিল এ তা সম্পাদনা করেন কীর্তিনাথ হাজারিকা।

তিনি ১৯৮২ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত নির্বাচিত অসমীয়া ছোটগল্পের একটি নৃতাত্ত্বিক চয়নিকা, বাসরের গল্প সম্পাদনা করেছিলেন, এর পাশাপাশি অরুণ গোস্বামীর সাথে সম্পাদনদ করেছিলেন, কালান্তরের কথকতা যা ছিল ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত অসমীয়া ছোটগল্পের আরেকটি নৃত্যশাস্ত্র।

তার দু'টি লিখিত রচনা অন্য মাধ্যমে অনুবাদ করা হয়েছিল। তাঁর জবানবন্দি উপন্যাসটি ডিব্রুগড়ের আকাশবাণীতে একটি রেডিও-আবৃত্তি হিসাবে প্রচারিত হয়েছিল। এছাড়াও, অসমীয়া চলচ্চিত্র রেশমিরেখা,তার বিখ্যাত উপন্যাস রজনীগন্ধা অবলম্বনে নির্মিত যা প্রফুল্ল বড়ুয়ার প্রযোজনায় ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।

সম্মানীয় পদ

তিনি ২০১৩–১৫ বার্ষিক অধিবেশনের সময় বরপেটা রোডে অবস্থিত রাজ্যের সাহিত্য সংস্থা অসম সাহিত্য সভার সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

প্রকাশিত রচনা

  • বানভাশি (কবিতার বই)
  • সঙ্গীতের হিখপারে (উপন্যাস)
  • অপরিচিতা
  • ক্রান্তি রেখা (উপন্যাস)
  • বন্ধু দুয়ার (উপন্যাস)
  • কৃতদাসের হহি (অনুবাদকৃত উপন্যাস)
  • জবানবন্দি (উপন্যাস)
  • মুর ফুলানির ফুল (গদ্য সংগ্রহ)
  • অসমিয়া সংস্কৃতিতে মুসলমানদিগের অবদান (বক্তৃতা)]
  • ধৌ ভাঙি ধৌ
  • নিঃসঙ্গ ধূসর (কবিতার বই)
  • কুকুহা (২০১২) (সর্বশেষ সংক্ষিপ্ত গল্পের সংগ্রহ)
  • ঈশান দত্তর নির্বাচিত কবিতা (কবিতার বই)
  • শিখর মিনতি
  • সাগরিকা উপন্যাস)
  • বর্ণালি (উপন্যাস)
  • কাভি পুলিশ (উপন্যাস)
  • বনজ্যোৎস্না
  • (উপন্যাস)
  • তানসেন (উপন্যাস)
  • তথাপি সাগর (উপন্যাস)
  • ইনকিলাব (অনুবাদকৃত উপন্যাস)
  • জুনাকর চোবি (অনুবাদকৃত উপন্যাস)
  • বাসরের গল্প (১৯৬২, ১৯৬৩, ১৯৬৪) (সম্পাদক)
  • কালান্তরের কথকতা (সম্পাদক)
  • বিশ্ববন্ধু (জীবনী)
  • বান্দি বিহংগোমে কাণ্ডে
  • পাঠক
  • ইত্যাদি
  • পিয়ামুখ চন্দ
  • পোড়া মাটির মালিতা
  • স্পর্শরেখা
  • ইমরান শাহের নির্বাচিতো গল্প
  • জোড়ু জোড়ু কথা (২০১৩) * নিবন্ধ সংগ্রহ *

সম্মান ও পুুুরস্কার

  • অসম উপত্যকা সাহিত্য পুরস্কার[২]
  • অসম সরকার দ্বারা আজান পীর পুরস্কার[৩]
  • অসম সাহিত্য সভার সভাপতি (২০১৩)

তথ্যসূত্র

  1. "Imran Shah"। assaminfo.com। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০১৪ 
  2. ২.০ ২.১ "Assam Valley Award for Imran Shah"দ্য আসাম ট্রিবিউন। ৪ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১২ 
  3. "Ajan Peer Award conferred on Imran Shah"দ্য আসাম ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০২০ 

বহিঃসংযোগ