ঔপনিবেশিক ভারত

ভারতপিডিয়া থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
ঔপনিবেশিক ভারত
British Indian Empire
ঔপনিবেশিক ভারত
ডাচ ভারত১৬০৫–১৮২৫
ডেনিশ ভারত১৬২০–১৮৬৯
ফরাসী ভারত১৭৬৯-১৯৫৪
পর্তুগীজ ভারত
(১৫০৫–১৯৬১)
কাসা দা ইন্ডিয়া১৪৩৪–১৮৩৩
পর্তুগীজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি১৬২৮–১৬৩৩
ব্রিটিশ ভারত
(১৬১২–১৯৪৭)
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি১৬১২–১৭৫৭
ভারতে কোম্পানি শাসন১৭৫৭–১৮৫৮
ব্রিটিশ ভারত১৮৫৮–১৯৪৭
বার্মায় ব্রিটিশ শাসন১৮২৪–১৯৪৮
দেশীয় রাজ্য১৭২১–১৯৪৯
ভারত বিভাগ
১৯৪৭

ঔপনিবেশিক ভারত বা কলোনিয়ান ভারত ( Colonial India) বলতে ইউরোপীয় ঔপনিবেশিকদের দ্বারা ভারতীয় উপমহাদেশভারতীয় মহারাজা দের উপর ব্যবসার মাধ্যমে ক্ষমতা বিস্তারনের প্রভাব কে বোঝায়। খ্রিষ্টপূর্ব তিনশ শতকে গ্রীক সম্রাট আলেকজান্ডারের মাধ্যমে সর্বপ্রথম ইউরোপীয় অধিবাসীদের পা পড়ে ভারত বর্ষে। পরবর্তীতে ১৫১০ সালে পর্তুগীজ নাবিক ভাস্কো-দা-গামা দেয়ারা গোয়ায় স্থাপিত হয়।বাংলায় ১৭৫৭ থেকে ১৯৪৭ সাল অব্দি যে শাসন চলে তাই ঔপনিবেশিক শাসন ।

ইউরোপিয়রা প্রথমে ভারত বর্ষে বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে আসে কিন্তু তারা ধীরে নবাবের নিকটস্থ লোকজন কে কব্জা করে নেয়।এবং নবাবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধে নবাবের নিকটস্থ মীরজাফরের বিশ্বাস ঘাতকতায় নবাবের পরাজয়ের ফলে ভারত উপমহাদেশে ঔপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যার ফল ছিল সুদূরপ্রসারী। পলাশীর যুদ্ধে পরাজিত নবাবকে আটক ও নির্মমভাবে হত্যার পর ইংরেজরা মীরজাফরকে নবাব বানালেও মূল ক্ষমতা চলে যায় ইংরেজ সেনাপতি রবার্ট ক্লাইভের হাতে। পরে ১৭৬৫ সালে ইংরেজরা দিল্লির সম্রাটের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা-বিহার-ওড়িশার রাজত্ব লাভ করে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে। তারা নবাবকে ক্ষমতাহীন দায়িত্ব প্রদান করে সিংহাসনে বসিয়ে রাখে, অন্যদিকে রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব হাতে রাখে ইংরেজরা। ইংরেজরা প্রজাদের অতিরিক্ত কর দেওয়ার জন্য বল প্রয়োগ করতে থাকে। অতিরিক্ত করের চাপ আর অনাবৃষ্টির ফলে ১১৭৬ সনে বাংলায় দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। তবে পাশাপাশি ইংরেজদের অল্প কিছু ভালো উদ্যোগও ছিল। আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার প্রবর্তন, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ভিত্তি স্থাপন ও পাশাপাশি সমাজ সংস্কারের কাজও তারা করেছে। এসব কারণে বলা যায়, পলাশীর যুদ্ধের ফলে বাংলায় ঔপনিবেশিক শাসনের ফলাফল ছিল সুদূরপ্রসারী।[১]

এভাবে চলতে থাকে ভারতের উপর ব্রিটিশ শাসন।