কালার ফটো (চলচ্চিত্র)

ভারতপিডিয়া থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
কালার ফটো
চিত্র:কালার ফটো (চলচ্চিত্র) পোস্টার.jpg
রলিজ পোস্টার
পরিচালকসন্দীপ রাজ
প্রযোজকসাই রাজেশনিলম
বেনি মুপ্পানেনি
রচয়িতাদুর্গা প্রসাদ
চিত্রনাট্যকাররাহুল রুবেন রাজ
কাহিনিকারসাই রাজেশ
শ্রেষ্ঠাংশেসুহাস
চন্দিনী চৌধুরী
বর্ণনাকারীসুসহিত
সুরকারকাল ভৈরব
চিত্রগ্রাহকভেঙ্কট আর শাকামুরি
সম্পাদককোদাতি পবন কল্যাণ
প্রযোজনা
কোম্পানি
অম্রুতা প্রোডাকশনস
লোক্যা এন্টরটেইনমেন্টস
পরিবেশকআহা
মুক্তি
  • ২৩ অক্টোবর ২০২০ (2020-10-23)
দৈর্ঘ্য১৪২ মিনিট
দেশভারত
ভাষাতেলুগু
নির্মাণব্যয়কোটি (US$০.৮১ মিলিয়ন)

কালার ফটো ২০২০ সালে তেলুগু - ভাষায় নির্মিত একটি ভারতীয় পিরিয়ড রোমান্টিক কাহিনী চিত্র। এটি সন্দীপ রাজ পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র।[১][২] অম্রুতা প্রোডাকশনস এং লোক্যা এন্টরটেইনমেন্টস প্রযোজিত এই চিত্রে স্টার সুহাস এই প্রথম মুখ্য চরিত্রে অভিয় করেছেন। সঙ্গে আছেন চন্দিনী চৌধুরী, সুনীল এবং অন্যদের মধ্যে বিভা হর্ষ[৩][৪][৫] সংগীতায়োজনে কাল ভৈরবমাথু ভাদালারার পরে সুরকার হিসাবে এটি তাঁর দ্বিতীয় ছবি। ছবিটি ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি অন্ধ্র প্রদেশ এর মছলিপট্টনম -এর পটভূমিতে এক "গড়পড়তা লোক" এর গল্প। [৬][৭][৮] ২০২০ সালের ২৩ অক্টোবর চলচ্চিত্রটির প্রিমিয়ার হয়েছিল আহা -তে।[৯] অভিনেতা-কৌতুক শিল্পী সুনীল তাঁর আগের অভিনীত ছবি ডিসকো রাজা (২০২০) এর মতোই একটি বিরোধী চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

এই ছবিতে অনেক অভিনেতারই ফিল্মে আত্মপ্রকাশ ঘটেছে যাঁরা এর আগে ছবিটির পরিচালক সন্দীপ রাজের বেশ কয়েকটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবিতে কাজ করেছিলেন। মছলিপট্টনম, বিজয়ওয়াদা এবং অন্ধ্র প্রদেশ এর আশেপাশের অঞ্চলে ছবিটির পুরো শুটিং হয়েছে। এই ছবিটি ৬ কোটি টাকার একটি ছোট বাজেটে তৈরি করা হয় এবং 'হিট ফিল্ম' হিসাবে স্বীকৃতিও লাভ করে।[১০] কালার ফটো ২০২০-র এখনও পর্যন্ত কয়েকটি সফল টলিউড চলচ্চিত্রের মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে।

পটভূমি

দীপ্তি তার বাবার মৃত্যু সংবাদ পেয়েছে। এই দৃশ্য দিয়ে ছবিটি শুরু হয়। দীপ্তি এবং তার স্বামী চান্দু তাদের গ্রামে পৌঁছে তাদের পরিবারের সাথে দেখা করে। দীপ্তির ভাই রামারাজু এবং স্থানীয় সাব-ইন্সপেক্টর তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করে। কিন্তু দীপ্তি তাদের সে চেষ্টা বন্ধ করে দিয়ে জিপে তার প্রাক্তন জয়কৃষ্ণের বাড়িতে চলে যায়। তার বন্ধু পদ্মজা তার সাথে এসেছিল এবং তাদের দু'জনের মধ্যে কিছু কথা চালাচালি চলে। জয়কৃষ্ণের সাথে তার অতীত বিষয়গুলির খুব মিল খুঁজে পায় এবং দীপ্তি তার গল্পটি বর্ণনা শুরু করে।

দুধওয়ালার ছেলে জয়কৃষ্ণ দীপ্তির সাথে একই কলেজে পড়াশোনা করত। একবার দেবী চরিত্রে অভিনয়ের জন্য দীপ্তি মহড়া দিচ্ছিল। তখন জয়কৃষ্ণ তার প্রেমে পড়ে। কিন্তু সে কালো এবং নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে এসেছে - দীপ্তির মতো সে নয়। তাই সে কখনও দীপ্তির প্রতি তার অনুভূতি প্রকাশ করে না। এক বছর পরে দীপ্তি জয়কৃষ্ণের মুখোমুখি হয় এবং প্রস্তাব দেয়। জয়কৃষ্ণের অনুরোধে দীপ্তি তাদের সম্পর্ককে গোপন রাখতে মেনে নেয়।

অপ্রত্যাশিতভাবে পদ্মজা এবং জয়কৃষ্ণের বন্ধু বালা ইয়েসু "বালু" তাদের সম্পর্কের বিষয়ে জানতে পারে। তারাও সম্পর্কটিকে গোপন রাখার কথা মেনে নেয়। (কলেজ) ফেস্ট পর্যন্ত উভয়ের পক্ষে পরিস্থিতি অনুকূল ছিল। কৃষ্ণ বর্ণের জন্য ঐ উৎসবে কলেজের অধ্যক্ষ জয়কৃষ্ণকে মঞ্চে বলার সুযোগ দিতে অস্বীকার করে। জয়কৃষ্ণ অপমান বোধ করে এবং মঞ্চে প্রধান অতিথির সামনে বর্ণ বৈষম্যের সমালোচনা করে একটি বক্তৃতা দেয়। বিদেশী এই প্রধান অতিথি তেলুগু বুঝতে পারেন না এবং এটিকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পক্ষে বক্তৃতা হিসাবে বিবেচনা করেন।

কয়েকজন প্রবীণ জয়কৃষ্ণকে পছন্দ করলে অধ্যক্ষ সহ কয়েকজন সিনিয়র রাগে অসন্তোষে প্রতিশোধ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দীপ্তির জন্মদিনে জয়কৃষ্ণ ছাত্রশূন্য ক্লাসে দীপ্তির সাথে দেখা করে। এই সময় সিনিয়ররা কক্ষটি তালাবন্ধ করে দাবী করে যে এই যুগলের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক আছে। রামারাজু রেগে গিয়ে দীপ্তিকে গ্রাম থেকে দূরে পাঠিয়ে দেয়। জয়কৃষ্ণকে পরে মারধর করা হয়। যাইহোক দীপ্তি তার হল টিকিট সংগ্রহ করতে হাজির হলে জয়কৃষ্ণের সাথে দেখা হয় এবং তার সাথে চলে যায়। ও দিকে বন্ধুদের সহায়তায় রামারাজু কলেজে আটকে থাকে।

যুগলে সোৎসাহে আনন্দের সাথে চলে যায়। তারপরে পদ্মজা এবং দীপ্তি আসল ঘটনাগুলি স্মরণ করিয়ে দেয়। জয়কৃষ্ণকে মারধর এবং অপমান করা হয়েছিল। তার শংসাপত্রগুলিকে রামারাজু পুড়িয়ে দিয়েছিল যাতে ভবিষ্যতে তার কোনও চাকরি না পাওয়া নিশ্চিত হয়। লক্ষ্মী নামের একটি বাছুরকেও রামারাজু হত্যা করে। বাছুরটি জয়কৃষ্ণের মৃত মায়ের খুব প্রিয় ছিল এবং তার নামটিও তার মায়েরই দেওয়া। জয়কৃষ্ণ সুস্থ হয়ে উঠলে রামারাজু তার পা ভেঙে তাকে খোঁড়া করে দেয়।

হল টিকিট সংগ্রহ করতে দীপ্তি যখন আসে তখন জয়কৃষ্ণের সাথে দেখা হয় এবং তারা উভয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। জয়কৃষ্ণ ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তবে দীপ্তিকে রামারাজু উদ্ধার করে। চলচ্চিত্রটি শেষ হয় এটা জানিয়ে যে গ্রামে জয়কৃষ্ণের কোনও ছবি নেই - দীপ্তি সেটি জানতে পারে এবং দীপ্তি তার একটি প্রতিকৃতি আঁকে। সেটিই হ'ল 'রঙিন ছবি'।

তথ্যসূত্র

  1. India, The Hans (২০২০-০৯-১৫)। "Colour Photo World Premiere on Aha"thehansindia.com (English ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০৫ 
  2. admin। "'Colour Photo' Telugu Movie Streaming Online Watch on Ahavideo"Binged (English ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০৫ 
  3. Sangam, Sowmya। "Suhas to grip viewers with intense character"Telangana Today 
  4. "It's an absolute pleasure and honour to be part of this film, says Colour Photo actor Suhas"The Times of India। এপ্রিল ২১, ২০২০। 
  5. "Chandini Chowdary pens an emotional note after wrapping up the shoot of 'Colour Photo' - Times of India"The Times of India (English ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-২৮ 
  6. লুয়া ত্রুটি মডিউল:উদ্ধৃতি/শনাক্তক এর 47 নং লাইনে: attempt to index field 'wikibase' (a nil value)।
  7. "I can assure that Sunil Garu has a terrifying role in Colour Photo: Suhas - Times of India"The Times of India 
  8. "Comedian Suhas turns into a hero for 'Colour Photo': Kala Bhairava to compose the music - Times of India"The Times of India 
  9. "Colour Photo (2020) | Colour Photo Movie | Colour Photo Telugu Movie Cast & Crew, Release Date, Review, Photos, Videos"FilmiBeat 
  10. "Is Colour Photo the only OTT hit for Tollywood in 2020?"Latest Telugu Political News | Telangana | Andhra Pradesh News (English ভাষায়)। ২০২০-১১-০২। ২০২০-১১-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০৫