জয় মুখার্জী
জয় মুখার্জী | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ৯ মার্চ ২০১২ | (বয়স ৭৩)
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা |
|
কর্মজীবন | ১৯৬০-১৯৮৫ |
উচ্চতা | ৬ ফুট ২ ইঞ্চি |
দাম্পত্য সঙ্গী | নীলম মুখার্জী |
সন্তান | ৩ জন |
পিতা-মাতা |
|
পরিবার | মুখার্জী-সমর্থ পরিবার |
জয় মুখার্জী (২৪শে ফেব্রুয়ারি ১৯৩৯ - ৯ই মার্চ ২০১২) ছিলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা এবং পরিচালক।
পারিবারিক ইতিহাস
জয় মুখার্জি শশধর মুখোপাধ্যায় এবং সতী দেবীর পুত্র ছিলেন। তার বাবা একজন সফল নির্মাতা এবং ফিল্মালয় স্টুডিওর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তার কাকারা ছিলেন পরিচালক সুবোধ মুখোপাধ্যায়, অশোক কুমার, অনুপ কুমার এবং কিশোর কুমার। জয় মুখার্জি দেরাদুনের কর্নেল ব্রাউন ক্যামব্রিজ স্কুল এবং সেন্ট জেভিয়ার কলেজে পড়াশোনা করেছিলেন। তার স্ত্রীর নাম নীলম এবং তাদের দুটি পুত্র মনজয় (টয় নামেও পরিচিত) ও সুজয় (বয় নামেও পরিচিত) এবং একটি মেয়ে সিমরন।[১]
অভিনয় জীবন
জয় আর. কে. নায়ার পরিচালিত লাভ ইন সিমলা ছবিতে সাধনার বিপরীতে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। তারপরে তিনি আশা পারেখের সাথে ফির ওহি দিল লায়া হুঁ লাভ ইন টোকিও জিদ্দি ইত্যাদি নানা চলচ্চিত্রে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন। তার কয়েকটি ছবি যেমন দূর কি আওয়াজ, আও প্যার করেঁ এবং শাগির্দ (সায়রা বানুর বিপরীতে), এক মুসাফির এক হাসিনা সাধনার বিপরীতে, ইশারা বৈজয়ন্তীমালার বিপরীতে এবং জি চাহতা হ্যায় রাজশ্রীর বিপরীতে বিস্ময়কর সাফল্য লাভ করে ছিল। তার বেশিরভাগ সিনেমাতেই গানগুলি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছিল। ১৯৬০ এর দশকের শেষের দিকে, অভিনয়ের জন্য পছন্দসই চরিত্র কমতে শুরু হয়েছিল, তাই তিনি পরিচালনা এবং প্রযোজনা শুরু করেছিলেন।[২]
তিনি হামসায়া প্রযোজনা ও পরিচালনা করেছিলেন যদিও এই চলচ্চিত্রটি ভাল ব্যবসা করতে পারেনি। শেষের দিকে ভাই দেব মুখোপাধ্যায় এবং ভাবী শ্যালিকা তনুজাকে নিয়ে নিজেদের প্রযোজনায় এক বার মুসকুরা দো (১৯৭২) সাফল্য লাভ করা সত্ত্বেও জয় রূপালী পর্দা থেকে ধীরে ধীরে সরে যান। পরে, ১৯৭৭ সালে, তিনি ছৈলা বাবু ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন রাজেশ খান্না কে মুখ্য চরিত্রে নিয়ে, এটি বক্স অফিসে বড় সাফল্য লাভ করেছিল। লাভ ইন বোম্বাই প্রযোজনার সময় তার যে ঋণ হয়েছিল, এই সিনেমার সাফল্য তার সেই সমস্যা সমাধান করে দেয়। পরে ১৯৮৫ সালে, রাজেশ খান্না তাকে ইনসাফ ম্যায় করুঙ্গা ছবিতে খলনায়ক হিসাবে সুযোগ দিয়েছিলেন, যা অভিনেতা জয় মুখার্জীর শেষ সফল ছবি ছিল।
আর্থিক অসুবিধা
লাভ ইন বোম্বে ছবি বানিয়ে প্রযোজক হিসেবে জয় মুখার্জীকে গভীর আর্থিক আর্থিক সমস্যায় পড়তে হয়েছিল, তবে প্রয়াত পরিচালক-অভিনেতার স্ত্রী নীলম, ৪০ বছর পরে সিনেমাটি প্রকাশ করে বলেন, যে সবকিছু হারানো সত্ত্বেও, চলচ্চিত্রটি তার মনের খুব কাছে ছিল। "এই ছবিটি ছিল আমার স্বামীর ওয়াটারলু। এই ছবি করে তাঁর যা ছিল সব শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাঁর নিজের অর্থ, প্রধান সম্পত্তিগুলি সব চলে গিয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে ৩৭ টি ঋণের মামলা ছিল। তবে তিনি সমস্ত কিছু শোধ করলেন এবং নতুন করে শুরু করে ছিলেন। এই চলচ্চিত্রটি তাঁকে এতটা সমস্যায় ফেললেও এটি তাঁর খুব প্রিয় ছিল," শ্রীমতি মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন। ১৯৭৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটি "লাভ ইন" সিরিজের তৃতীয় অংশ ছিল। এটি শুরু হয়েছিল ১৯৬০ সালের দূর্দান্তভাবে সফল ছবি লাভ ইন সিমলা দিয়ে, যেটি দিয়ে জয় চলচ্চিত্র দুনিয়ায় আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। এর পরেরটি ছিল ১৯৬৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সুবর্ণ জয়ন্তীর হিট ছবি লাভ ইন টোকিও। ১৯৭৭ সালে তার একমাত্র সফল পরিচালিত ছবি ছৈলা বাবু ভাল চলায় তার অর্থ সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
মৃত্যু
জয় মুখোপাধ্যায় ২০১২ সালের ৯ই মার্চ মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে মারা যান, তার আগে তাকে সেখানে কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাস (ভেন্টিলেটর) ব্যবস্থার মধ্যে রাখতে হয়েছিল। তার দীর্ঘদিনের অসুস্থতা ছিল।[৩]
আরো দেখুন
তথ্যসূত্র
- ↑ Two weddings, and one story
- ↑ Joy Mukherjee profile
- ↑ "Actor Joy Mukherjee dies at 73"। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১৭।
বহিঃসংযোগ
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে মুখার্জী/ জয় মুখার্জী
- ষাটের দশকের তারকা জয় মুখার্জী মারা গেলেন, অবিজিৎ ঘোষ (ইংরেজি)
- [১] (ইংরেজি)
লুয়া ত্রুটি মডিউল:কর্তৃপক্ষ_নিয়ন এর 348 নং লাইনে: attempt to index field 'wikibase' (a nil value)।
- স্ক্রিপ্ট ত্রুটিসহ পাতা
- অকার্যকর ফাইল সংযোগসহ পাতাসমূহ
- অজানা প্যারামিটারসহ তথ্যছক ব্যক্তি ব্যবহার করা পাতা
- এইচকার্ডের সাথে নিবন্ধসমূহ
- ইংরেজি ভাষার বহিঃসংযোগ থাকা নিবন্ধ
- ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা
- মুম্বইয়ের চলচ্চিত্র পরিচালক
- ১৯৩৯-এ জন্ম
- ২০১২-এ মৃত্যু
- ২০শ শতাব্দীর ভারতীয় অভিনেতা
- হিন্দি চলচ্চিত্র অভিনেতা
- মুম্বইয়ের চলচ্চিত্র প্রযোজক