রামায়ণ (টেলিভিশন ধারাবাহিক)

ভারতপিডিয়া থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
২০০৮ সালের পুনর্নির্মিত টেলিভিশন সিরিজটি সম্পর্কে জানতে দেখুন রামায়ণ (২০০৮-এর টেলিভিশন ধারাবাহিক)
রামায়ণ
চিত্র:রামায়ণের প্রচ্ছদ.jpg
রামায়ণের প্রচ্ছদ
নির্মাতারামানন্দ সাগর
অভিনয়েঅরুণ গোভিল
দীপিকা চিখালিয়া
সুনীল লহরী
সঞ্জয় যোগ
অরবিন্দ ত্রিবেদী
দারা সিংহ
বিজয় অরোরা
সমীর রাজদা
মূলরাজ রাজদা
ললিতা পবার
মূল দেশ ভারত
মূল ভাষাহিন্দি
পর্বের সংখ্যা৭৮
নির্মাণ
ব্যাপ্তিকাল৩৫ মিনিট
মুক্তি
মূল নেটওয়ার্কদূরদর্শন
মূল মুক্তির তারিখ২৫ জানুয়ারি, ১৯৮৭ –
৩১ জুলাই, ১৯৮৮
ক্রমধারা
পরবর্তীলব কুশ
বহিঃসংযোগ
[{{#property:P856}} ওয়েবসাইট]

রামায়ণ একটি অত্যন্ত সফল[১][২] ভারতীয় টেলিভিশন ধারাবাহিক। এই ধারাবাহিকের স্রষ্টা, রচয়িতা ও পরিচালক রামানন্দ সাগর। ৭৮-পর্বের এই ধারাবাহিকটি ১৯৮৭ সালের ২৫ জানুয়ারি থেকে ১৯৮৮ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত প্রতি রবিবার ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ন’টায় সম্প্রচারিত হয়।[৩] এই ধারাবাহিকটি নির্মিত হয় মূলত বাল্মীকি রামায়ণতুলসীদাসের রামচরিতমানস অবলম্বনে। তবে এর কিছু কিছু অংশ গৃহীত হয়েছিল কম্বন রচিত কম্ব রামায়ণ ও অন্যান্য গ্রন্থ থেকে।

কুশীলব

সম্প্রচারের ইতিহাস

১৯৮৬ সালে বিক্রম অউর বেতাল ধারাবাহিকের সাফল্যের পর দাদা-দাদী কি কাহানিয়া প্রযোজনার সময়েই রামানন্দ সাগর দূরদর্শনের কাছে রামায়ণ অবলম্বনে ধারাবাহিক নির্মাণের প্রস্তাব রাখেন। প্রস্তাবটি প্রথমে প্রত্যাখ্যাত হয়। কিন্তু পরে পুনরায় প্রস্তাবটি রাখা হলে দূরদর্শন কর্তৃপক্ষ সাম্প্রদায়িকতায় উসকানির আশঙ্কায় এটি নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতা করতে থাকেন। শেষে ৫২ পর্বে ধারাবাহিকটি সম্প্রচারের অনুমতি দেওয়া হয়। রবিবার সকাল সাড়ে ন’টার একটি অজনপ্রিয় স্লট ধারাবাহিকটির জন্য নির্ধারিত হয়। কিন্তু ধারাবাহিকটির অভাবনীয় জনপ্রিয়তার কারণে এই পর্বসংখ্যা পরে দুটি পর্যায়ে বৃদ্ধি করে ৭২ করা হয়।[৪]

জনপ্রিয়তা ও প্রভাব

মূল সম্প্রচারের সময় রামায়ণ ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। এই ধারাবাহিক দশ কোটি দর্শক টানতে সক্ষম হয়।[২] প্রথম দিকে অতটা জনপ্রিয়তা না পেলেও[৪] পরে দেখা যায় ভারতে সকল টেলিভিশন দর্শকই ধারাবাহিকটির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছেন।[৫] জনগণের মধ্যে রামায়ণ দেখার অত্যুৎসাহী প্রবণতা লক্ষ করে ইন্ডিয়া টুডে পত্রিকায় "রামায়ণ জ্বর" নামে একটি কথা চালু হয়।[২][৬] উল্লেখ্য, ভারতীয় চলচ্চিত্রের সূচনা ধর্মীয় উপাখ্যানের হাত ধরে হলেও, রামায়ণ-ই ছিল ভারতীয় টেলিভিশনের প্রথম ধর্মীয় ধারাবাহিক।[২] পরে এই ধারাবাহিকের দৃষ্টান্তে অনুপ্রাণিত হয়ে ভারতে আরও অনেক ধর্মীয় ধারাবাহিক নির্মিত হয়।

সমালোচকদের প্রতিক্রিয়া

ধারাবাহিকটি সম্প্রচার শুরু হলে শহুরে ভারতীয় ও পাশ্চাত্য চলচ্চিত্র সমালোচকেরা এটিকে শ্লথগতিসম্পন্ন, অতিনাটকীয়তাপূর্ণ ও নিম্ন প্রযোজনা-মানসম্পন্ন বলে সমালোচনা করেন। কিন্তু ধারাবাহিকটি জনপ্রিয়তা অর্জন করলে, এমন নিকৃষ্ট শ্রেণির ধারাবাহিকের এই বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জনের পশ্চাতে কি কি কারণ থাকতে পারে, তা নিয়ে পত্রপত্রিকায় প্রচুর লেখালিখি হয়।[৪]

পাদটীকা

  1. Lutgendorf, Philip (১৯৯১)। The Life of a Text: Performing the Ramcharitmanas of Tulsidas। Berkeley, California: University of California Press। পৃষ্ঠা 12। আইএসবিএন 0-520-06690-1 
  2. ২.০ ২.১ ২.২ ২.৩ Lutgendorf, P., The Life of a Text, 411–412
  3. লুয়া ত্রুটি মডিউল:উদ্ধৃতি/শনাক্তক এর 47 নং লাইনে: attempt to index field 'wikibase' (a nil value)।
  4. ৪.০ ৪.১ ৪.২ Lutgendorf, Philip (২০০৬)। "All in the (Raghu) Family: A Video Epic in Cultural Context"। Hawley, John Stratton; Narayanan, Vasudha। The Life of Hinduism। The Life of Religion। Berkeley: University of California Press। পৃষ্ঠা 140–157। আইএসবিএন 978-0-520-24913-4 
  5. National Endowment for the Humanities. "Lessons of the Epics: The Ramayana". EdSITEment Lesson Plans. Available online from http://edsitement.neh.gov/view_lesson_plan.asp?id=599 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ তারিখে (18 January, 2006).
  6. Karp, Jonathan and Williams, Michael. "Reigning Hindu TV Gods of India Have Viewers Glued to Their Sets." The Wall Street Journal, 22 April 1998

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Ramayan Videos Online