শান্তা দেবী

ভারতপিডিয়া থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
শান্তা দেবী
জন্ম
দময়ন্তী

১৯২৭
মৃত্যু২০ নভেম্বর ২০১০(২০১০-১১-২০)
কালিকট, কেরল, ভারত
পেশাঅভিনেত্রী
কর্মজীবন১৯৬৪–২০১০
দাম্পত্য সঙ্গীবালাকৃষ্ণন (তালাক)
কোজিকোড আবদুল কাদের

দময়ন্তী (১৯২৭ - ২০শে নভেম্বর ২০১০; মঞ্চ নাম কোজিকোড শান্তা দেবী দ্বারা বেশি পরিচিত)[১] একজন ভারতীয় মালয়ালম চলচ্চিত্র এবং মঞ্চ অভিনেত্রী ছিলেন। তাঁর কর্মজীবনের প্রায় ৬০ বছর যাবৎ তিনি ১,০০০টিরও বেশি টেলিভিশন ধারাবাহিক এবং প্রায় ৪৮০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।[২]

জীবনী

শান্তা দেবী ১৯২৭ সালে ভারতের কেরলের কালিকটের থোটাথিল নামক একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি তাঁর বাবা-মায়ের দশ সন্তানের মধ্যে সপ্তম কন্যা হিসাবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর বাবার নাম থোট্টাথিল কান্নাক্কুরুপ্পু এবং তাঁর মায়ের নাম কার্তিয়াইয়ানী আম্মা। তিনি সভা স্কুল এবং তারপরে বি.ই.এম. স্কুল থেকে তাঁর স্কুল জীবনের পড়াশোনা সম্পন্ন করেছিলেন।

তিনি ১৯৫৪ সালে বাসু প্রদীপ রচিত এবং কুন্দনারী আপ্পু নায়ের দ্বারা পরিচালিত ধারাবাহিক স্মারকম-এ অভিনয়ের মাধ্যমে একজন অভিনেত্রী হিসেবে অভিনয় জগতে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। অতঃপর ১৯৫৭ সালে, তিনি মিন্নামিনুঙ্গু নামে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন। এই চলচ্চিত্রটি রামু কারিয়াত পরিচালনা করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি মুডুপদম, কুট্টিক্কুপ্পায়াম, কুঞ্জলিমারেক্কর, ইরুট্টিন্টে আথমাবু, স্থালাথে প্রধান পাইয়ান্স এবং অদ্বৈতম-সহ প্রায় ৪৮০টির মতো চলচ্চিত্র অভিনয় করেছেন। পরিচালক রঞ্জিত দ্বারা প্রযোজিত কেরালা ক্যাফে-এ তিনি সর্বশেষ অভিনয় করেছিলেন; যেখানে তিনি দেখাশোনা করার জন্য কেউ না থাকা একজন অবহেলিত ঠাকুমার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি তিনি টেলিভিশন ধারাবাহিকেও সক্রিয়ভাবে অভিনয় করেছিলেন। তাঁর সবচেয়ে স্মরণীয় চরিত্রগুলি ছিল মানসী এবং মিন্নুকেট্টু তে।

শান্তা দেবী ২০১০ সালের ২০শে নভেম্বর তারিখে সন্ধ্যায় কালিকটের একটি বেসরকারী হাসপাতালে মারা যান।[৩]

পরিবার

শান্তা দেবীর পাঁচ ভাই ও চার বোন ছিলেন। তাঁর ভাইয়ের সবাই বিমান বাহিনী এবং সামরিক বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি তাঁর মামার ছেলে বালকৃষ্ণনের (যিনি একজন রেলওয়ের প্রহরী হিসাবে কর্মরত ছিলেন) সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন, কিন্তু সেই সম্পর্ক বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। এই দম্পতির এক পুত্র সন্তান জন্মানোর পরে তাঁর স্বামী তাঁকে ত্যাগ করেন।[৪] পরে তিনি জনপ্রিয় মালয়ালম নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী কোঝিকোড আবদুল কাদেরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তাঁদের সুরেশ বাবু এবং সত্যজিৎ নামে দুই ছেলে ছিল।[৫]

পুরস্কার

১৯৯২ সালে শান্তা দেবী চলচ্চিত্র সমালোচকদের পুরস্কার পেয়েছিলেন। তিনি প্রেমজি পুরস্কার এবং পরে ২০০৫ সালে কেরল সংগীত নাটক অকাদেমির আজীবন সম্মাননা পুরস্কার লাভ করেছিলেন। তিনি কর্ণাটকের আত্তিম্বে পুরস্কারও লাভ করেছিলেন।

তথ্যসূত্র

  1. "Archived copy"। ২ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৩ 
  2. "നടി കോഴിക്കോട് ശാന്താദേവി അന്തരിച്ചു"Malayala Manorama। ২০১২-০৩-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১১-২১ 
  3. "Veteran Malayalam actress Shanta Devi dies"। .bombaynews.net। ২০ নভেম্বর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১০ 
  4. "Archived copy"। ১১ আগস্ট ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১২-১১ 
  5. "Archived copy"। ১৯ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১২-১১ 

বহিঃসংযোগ