শিবানী বর্মা

ভারতপিডিয়া থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
শিবানী বর্মা
Awakening with Brahmakumaris program in Bangkok.jpg
ব্যাংককে 'এওয়েকিং উইথ ব্রহ্ম কুমারিস' দূরদর্শন কর্মসূচীতে বি কে শিবানী ও সুরেশ অবেরয়
জন্ম (1972-05-31) ৩১ মে ১৯৭২ (বয়স ৫১)
জাতীয়তাভারতীয়
অন্যান্য নামসিস্টার শিবানী, ব্রহ্ম কুমারী শিবানী, বি কে শিবানী
মাতৃশিক্ষায়তনসাবিত্রীবাই ফুলে বিশ্ববিদ্যালয়
মহারাষ্ট্র ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি
পরিচিতির কারণআধ্যাত্মিক বক্তা
দাম্পত্য সঙ্গীবিশাল বর্মা
পিতা-মাতা
  • বিশাল বর্মা (পিতা)
পুরস্কারনারী শক্তি পুরস্কার, ২০১৪

শিবানী বর্মা (জন্ম: ৩১ মে, ১৯৭২) একজন ভারতীয় রাজযোগ ধ্যান-গুরু ও আধ্যাত্মিক বক্তা।[১] তিনি প্রাচীন ভারতীয় রাজযোগ অনুশীলনের সাথে জড়িত। তিনি ভারতের ব্রহ্ম কুমারী আধ্যাত্মিক আন্দোলনের একজন গুরু ও নেত্রী। জনপ্রিয়ভাবে তিনি সিস্টার শিবানী, ব্রহ্ম কুমারী শিবানী, বি কে শিবানী ইত্যাদি নামেও পরিচিত।[২]

প্রারম্ভিক জীবন ও শিক্ষা

শিবানী বর্মা ১৯৭২ সালের ৩১শে মে তারিখে মহারাষ্ট্রের পুনেতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। স্কুল শিক্ষা শেষ করে তিনি সাবিত্রীবাই ফুলে পুনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেক্ট্রনিক্স প্রকৌশলবিদ্যায় স্বর্ণপদকসহ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করেন। তার পরে তিনি মহারাষ্ট্র ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী সম্পূর্ণ করেছিলেন। পড়ালেখা সম্পূর্ণ হওয়ার পরে তিনি বিশাল বর্মার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।[১] মহাবিদ্যালয় শেষ হওয়ার আগে শিবানী স্থানীয় ব্রহ্ম কুমারী কেন্দ্রের সাথে জড়িত ছিলেন।

কর্মজীবন

তিনি মহারাষ্ট্রের পুনেতে ৩ বছর যাবৎ ভারতীয় বিদ্যাপীঠ মহাবিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসাবে কাজ করেছিলেন। প্রথমে তিনি দিল্লীতে ব্রহ্ম কুমারী দূরদর্শন উপস্থাপনার নেপথ্যে বিভিন্ন কাজের সাথে জড়িত ছিলেন।[৩] ২০০৭ সালের 'অ্যাওয়েকিং উইথ ব্রহ্ম কুমারিস' অনুষ্ঠানে তার একটি সাক্ষাৎকার প্রস্তুত করা হয়েছিল।[১][২]

সুরেশ ওবেরয়ের সাথে তার সাক্ষাৎকার ও টিভি বার্তালাপ ২০১৫ সালে 'হ্যাপিনেস আনলিমিটেড: অ্যাওয়েকেনিং উইথ ব্রহ্ম কুমারিস' নামে প্রকাশিত হয়েছে।[৪]

বি কে শিবানী ভারত ও ভারতের বাইরে বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণ করে আধ্যাত্মিক জ্ঞানের বক্তৃতা দিয়ে থাকেন। তিনি অঙ্গদান সম্পর্কে প্রচারণা[৫] থেকে আরম্ভ করে পিতৃ-মাতৃ কর্মসূচী ও[৬] ব্রহ্ম কুমারীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন। ২০১৭ সালে বিশ্ব মানসিক রোগ সংস্থা তাকে তাদের শুভেচ্ছা দূত হিসাবে নিযুক্ত করেছিল।[৭]

পুরস্কার ও সন্মাননা

তিনি ২০১৪ সালের অ্যাসোসিয়েটেড চেম্বারস অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির লেডিজ লীগ কর্তৃক 'দশকের মহিলা অর্জনকারী' (উইমেন অব দি ডিকেড অ্যাচিভার্স) পুরস্কার অর্জন করেছিলেন।[৮] ২০১৯ সালে ভারত সরকার তাকে নারী শক্তি পুরস্কার প্রদান করেছিল।[৯]

তথ্য উৎস

  1. ১.০ ১.১ ১.২ "Being normal, being spiritual"Mid Day। ১২ ডিসেম্বর ২০১০। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৩-২৭ 
  2. ২.০ ২.১ Ahuja, Aditi (৭ জুন ২০১০)। "Studying engineering helped me think logically: Brahmakumari Shivani"The Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৩-২৭ 
  3. "'Ensure that your happiness doesn't depend on others'"The Times of India। ৯ মার্চ ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৩-২৭ 
  4. লুয়া ত্রুটি মডিউল:উদ্ধৃতি/শনাক্তক এর 47 নং লাইনে: attempt to index field 'wikibase' (a nil value)।
  5. "Greatest gift, say spiritual gurus as doctors allay fears"The Times of India। ১১ আগস্ট ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১১-২৭ 
  6. "Brahma Kumaris in association with New Delhi Times organizes spiritual program at India Islamic Cultural Centre"[New Delhi Times। ২৩ নভেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১১-২৭ 
  7. "General Assembly – Berlin 2017"। World Psychiatric Association। ২০২০-০৭-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-১৩ 
  8. "BK Shivani"HuffPost India (English ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-১৯ 
  9. "President confers Nari Shakti awards on 44 women"The Tribune। ৯ মার্চ ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০২০