হেরম্বচন্দ্র মৈত্র
হেরম্বচন্দ্র মৈত্র | |
---|---|
জন্ম | ১৮৫৭ |
মৃত্যু | ১৬ জানুয়ারি ১৯৩৮ | (বয়স ৮০–৮১)
পেশা |
|
দাম্পত্য সঙ্গী | কুসুমকুমারী দেবী |
সন্তান | অশোক মৈত্র (পুত্র) নির্মলকুমারী মহলানবিশ (কন্যা) |
পিতা-মাতা | চাঁদমোহন মৈত্র (পিতা) |
হেরম্বচন্দ্র মৈত্র (১৮৫৭―১৯৩৮) ছিলেন ব্রাহ্ম সমাজের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা ও খ্যাতনামা বাঙালি শিক্ষাবিদ।
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
হেরম্বচন্দ্র মৈত্র ব্রিটিশ ভারতের অধুনা পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার যদুবয়রা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মৈত্রের পিতা ছিলেন চাঁদমোহন মৈত্র। তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ হতে ইংরাজী সাহিত্যের স্নাতক হন। তার সহপাঠী ছিলেন আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, ব্রজেন্দ্রনাথ শীল, প্রফুল্লচন্দ্র রায় ,ভূপেন্দ্রনাথ বসু প্রমুখেরা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরাজীতে এম.এ পাশ করেন। তিনি এমার্সনের উপরে গবেষণাধর্মী রচনার জন্য গ্রিফিথ স্মৃতি পুরস্কার লাভ করেন।
কর্মজীবন
হেরম্বচন্দ্র কলকাতার সিটি কলেজের প্রায় ৩০ বছর অধ্যক্ষ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরাজী এম.এ ক্লাশের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি কঠোর সদাচারী ও নীতিবাদী ছিলেন। সেকারণে বিভিন্ন বিষয়ে তার সাথে অনেকেরই বিরোধ দেখা দিত। অনেক সময় সে বিবাদ আদালত পর্যন্তও গড়াত। ইংরাজী ভাষায় তার রচিত বহু প্রবন্ধ মডার্ন রিভিউ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তিনি বাংলা সাপ্তাহিক পত্র সঞ্জীবনী এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজের আচার্য হিসাবে তার প্রদত্ত বক্তৃতাবলি বিশেষ উল্লেখযোগ্য। ব্রাহ্ম সমাজের মুখপত্র দি ইন্ডিয়ান মেসেঞ্জার পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন এবং সমাজের প্রচারকার্যে ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেন। স্যাডলার কমিশনে তিনি উচ্চ শিক্ষা বিষয়ে নিজের অভিমত পেশ করেছিলেন। তিনি এম্পায়ার ইউনিভার্সিটিজ কংগ্রেসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য হয়ে যোগদান করেন। ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ডি. লিট উপাধিতে সম্মানিত করে। দক্ষিণ কলকাতার সাউথ সিটি কলেজের দিবা বিভাগটি হেরম্বচন্দ্র কলেজ নামে পরিচিত হয়।
পারিবারিক জীবন
হেরম্বচন্দ্র কুসুমকুমারী দেবীকে বিবাহ করেন। দাম্পত্যজীবনে তাঁদের এক পুত্র অশোক মৈত্র এবং এক কন্যা নির্মলকুমারী ছিল। প্রখ্যাত বিজ্ঞানী পরিসংখ্যাতত্ত্ববিদ প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবীশ ছিলেন তাঁর জামাতা।
মৃত্যু
নীতিবাদি অধ্যাপক হেরম্বচন্দ্র মৈত্র ১৬ই জানুয়ারি ১৯৩৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
তথ্যসূত্র
- ভট্টাচার্য, অরুণোদয় (১৫ এপ্রিল ২০১২)। ব্যঙ্গ-বিতর্ক উস্কে দিল উনিশ শতকে ‘মানহানি’র স্মৃতি। আনন্দবাজার।